যেমন
১। মেথি
মেথি বীজ আমাদের রান্নাঘরের খুবই সাধারন একটি উপকরণ। এই ছোট্ট বীজটির কিন্তু স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এক চামুচ মেথি বীজ রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করলে ডায়াবেটিস অনেকটায় কমে আসবে।
২। গ্রীন টি
সবুজ চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা আমাদের সকলেরই জানা। এই ভেষজ উপকরণটি পেনক্রিয়াসের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় সেটা পরবর্তীতে ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে।
৩। করল্লাডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কি খাওয়া উচিৎ
ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় —এই প্রশ্নটি আজকাল সকল ডায়াবেটিস রোগীরাই জানতে চায়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে সুষম এবং নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রোগীরা এমন খাবার খেতে পারেন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে। আঁশযুক্ত খাবার যেমন পুরো শস্য, ওটস, শাকসবজি, এবং স্বল্প গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত ফল যেমন আপেল, কমলা, এবং বেরিজের মতো ফলগুলোও খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ডায়াবেটিসে মিষ্টি, সাদা চাল, এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুষ্টিকর ও সঠিক খাবার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন এই বিষয় নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ডায়াবেটিস কমানোর জন্য কি খাওয়া উচিত
শুরুতেই ডায়াবেটিস কি তা জেনে নেয়া যাক। সহজ ভাষায় এটি এমন একটি শারীরিক জটিলতা যার কারনে রক্তে গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতা কমে যায়। অগ্ন্যাশয় যদি সঠিকভাবে ইনসুলিন উৎপাদন করতে না পারে তখন এই রোগটি হয়। এটি মূলত ২ প্রকারঃ
- টাইপ ১ ডায়াবেটিস ও
- টাইপ ২ ডায়াবেটি
এই রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মারাত্বক হতে পারে তবে একেবারে সাধারন কিছু খাবার রয়েছে যা ডায়াবেটিস কমানোর জন্য দারুন কাজ করে।
ছোট্ট সবুজ এই সবজিটি তিতা স্বাদের জন্য অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। স্বাদে তিতা হলেও এর উপকারিতা কিন্তু অনেক। এর জুস নিয়মিত পান করলে রক্তে সুগার অনেকটায় নিয়ন্ত্রণে আসে। তাই ডায়াবেটিস কমানোর খাবার হিসেবে একে মেনুতে রাখতে পারেন।
৪। নিমপাতা
নিমপাতার ভেষজ গুণ অনেক। এটি ইনসুলিন উৎপাদনেও সাহায্য করে ফলে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীর খাবার মেনুতে ২/৪টা নিমপাতাও রাখতে পারেন।
কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না তা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান। যদিও এমন কোন খাবার সম্পর্কে এখুনো জানা যায়নি যে খেলে ডায়াবেটিস হবে না তবে উপরে আলোচিত খাবারগুলো আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিঃসন্দেহে সাহায্য করবে।
আমারা যে খাবার খাই তা কীভাবে গ্লুকোজের মাত্রাকে প্রভাবিত করে
খাবার সরাসরি রক্তে গ্লুকোজ বা রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে। খাদ্য থেকে প্রাপ্ত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, এবং ফ্যাট শরীরে বিভিন্ন উপায়ে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিচে এই প্রক্রিয়াটি সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
১. কার্বোহাইড্রেট:
কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন চাল, রুটি, আলু, ফল এবং মিষ্টি খাবার, শরীরে খুব দ্রুত ভেঙে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়ে। এই কারণে যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরিমাণ এবং ধরন নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
২. প্রোটিন:
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাছ, মাংস, ডিম, এবং ডাল, শরীরে গ্লুকোজে পরিবর্তিত হতে বেশ সময় নেয়। প্রোটিনের সরাসরি প্রভাব রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা তেমন দ্রুত হয় না। তবে প্রোটিন খাবার শরীরে গ্লুকোজের স্থায়িত্ব বাড়াতে সাহায্য করে এবং গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩. ফ্যাট:
ফ্যাট বা চর্বি-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন তেল, মাখন, এবং বাদাম, গ্লুকোজের শোষণ প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। ফলে যদি কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট একসঙ্গে খাওয়া হয়, তবে গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে।
৪. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI):
খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তে গ্লুকোজের ওপর তার প্রভাব নির্দেশ করে। উচ্চ GI খাবার (যেমন সাদা রুটি, মিষ্টি) রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বাড়ায়, আর কম GI খাবার (যেমন সবজি, বাদাম) ধীরে ধীরে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়।
কি শাক সবজি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে?
বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের প্রতিদিনের খাবার সরাসরি ব্লাড সুগার এর উপর প্রভাব ফেলে। আর এই কারনে ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় এই প্রশ্ন এখন সকলের। শাক সবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে এবং কার্বোহাইড্রেড ও ক্যালোরি কম থাকে তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। চলুন দেখি ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবেঃ
১। ব্রোকলি
২। সিম ও সিমের বীজ
৩। করল্লা
৪। পালং শাক
৫। মিষ্টিকুমড়া ও মিষ্টিকুমড়ার বীজ
৬। ঢেঁড়স
৭। টমেটো
৮। শসা
৯। ক্যাপসিকাম ইত্যাদি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কি ফল খাওয়া উচিৎ
বেশিরভাগ পাকা ফল মিষ্টি স্বাদের হয় যেগুলো খেতে সুস্বাদু হলেও ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়ীয়ে দিতে পারে। তাই আপনাকে এমন ফল বেছে নিতে হবে যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম যেমনঃ
- বেরি
- আপেল
- অ্যাভোকাডো
- নাশপাতি
- কমলা
- তরমুজ
- কলা সহ যে কোন সাইট্রাস ফল ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারবেন।
মাছ ও মাংসের প্রোটিন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রোটিন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা খুব ধীরে ধীরে বাড়ায়। তবে সব ধরনের প্রোটিন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয়। কেননা প্রোটিন এমন হতে হবে যেটায় ফ্যাট তুলনামূলক কম থাকে। মাছ ও মাংসের প্রোটিনের জন্য যে খাবারগুলো খাওয়া যাবে সেগুলো হলঃ
- চর্বি ছাড়া মুরগী ও টার্কির মাংস
- চর্বি যুক্ত সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনা মাছ, সার্ডিন। এছাড়া যে কোন নদীর মাছও ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারবেন।
- চর্বি ছাড়া গরুর মাংসও প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। তবে এটি খাওয়ার সময় সংযমী হতে হবে এবং অবশ্যই চর্বি বাদে খেতে হবে।
- ডিম একটি সহজলভ্য ও উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তবে যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তারা সাদা অংশ খেতে পারেন, কারণ ডিমের কুসুমে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল থাকে।
চর্বিহীন বা কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার
চর্বিযুক্ত দুগ্ধ জাত খাবারে ক্যালোরি বেশী থাকে ফলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা রক্তে খারাপ কোলেষ্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা চর্বিহীন বা কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার হিসেবে যে খাবারগুলো খেতে পারবেন সেগুলো হলঃ
লো-ফ্যাট পনির: কম চর্বিযুক্ত পনির বা ফ্যাটমুক্ত পনির প্রোটিনের একটি ভালো উৎস।
টক দই (প্লেইন): টক দই কম চর্বিযুক্ত এবং উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। এতে কার্বোহাইড্রেট পরিমাণ কম, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।
- চর্বিহীন দুধ (স্কিমড মিল্ক): এতে চর্বির পরিমাণ খুবই কম এবং প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
- লো-ফ্যাট দই (প্লেইন): চিনিমুক্ত, লো-ফ্যাট দই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর একটি বিকল্প। এতে প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিকস থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী।
- চর্বিহীন কেফির: কেফির একটি ফারমেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়, যা প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যকর। এটি সাধারণত কম কার্বোহাইড্রেট ও চর্বিহীন হিসেবে পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করতে যে সব খাবার সীমিত করতে হবে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু নির্দিষ্ট খাবার সীমিত করতে হবে, কারণ এই খাবারগুলো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও, এগুলো হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে তা নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো:
১. চিনি এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার:
- মিষ্টি পানীয়: কোমল পানীয় (সোডা), ফলের রস, এবং চিনিযুক্ত কফি/চা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়ায়।
- চিনিযুক্ত মিষ্টান্ন: মিষ্টি, পেস্ট্রি, কেক, আইসক্রিম, ডোনাট এবং মিষ্টি বেকড পণ্যগুলোতে চিনি অনেক বেশি থাকে, যা গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করে।
২. পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট:
- সাদা চাল, সাদা রুটি, পাস্তা: এই খাবারগুলোতে ফাইবার কম থাকে এবং এগুলো রক্তে দ্রুত গ্লুকোজ বাড়ায়।
- কর্নফ্লেক্স এবং প্রক্রিয়াজাত সিরিয়াল: এগুলোতে ফাইবার কম থাকে এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
৩. উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) খাবার:
- আলু: বিশেষ করে ফ্রাই বা ম্যাশড আলু খাওয়া রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: যেমন স্ন্যাকস (চিপস, ক্র্যাকার), প্রক্রিয়াজাত ব্রেড, এবং পিৎজা উচ্চ GI খাবার, যা গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করে।
৪. ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট:
- ফাস্ট ফুড: বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদিতে ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তোলে।
৫. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার:
- পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুধ, মাখন, ক্রিম, এবং পূর্ণ চর্বিযুক্ত পনিরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়াতে পারে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তোলে।
৬. অ্যালকোহল:
অতিরিক্ত অ্যালকোহল রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। কিছু অ্যালকোহল যেমন বিয়ার বা মিষ্টি মিশ্রিত ককটেল শর্করার মাত্রা বাড়ায়।
৭. উচ্চ শর্করা যুক্ত ফল:
- উচ্চ শর্করা যুক্ত ফল: যেমন পাকা কলা, আঙ্গুর, আম, লিচু, এবং ড্রাই ফ্রুট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে।
৯. লবণযুক্ত খাবার:
- অতিরিক্ত লবণ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপদজনক হতে পারে, কারণ এটি উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিসে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
নিয়মিত ডায়াবেটিস চেক করে খাবার এর নিয়ন্ত্রণ
নিয়মিত ডায়াবেটিস চেক করা খাবার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার খাদ্যাভ্যাস কীভাবে গ্লুকোজের মাত্রাকে প্রভাবিত করছে এবং সেই অনুযায়ী আপনার খাবার পরিকল্পনা সামঞ্জস্য করতে পারবেন। খাবার এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু সুবিধা পাই, যেমন:
১. খাবারের প্রভাব মূল্যায়ন করা যায়।
২. খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৩. খাবারের সময় ঠিক করা যায়।
৪. স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করা যায়।
৫. ওষুধ এবং খাবারের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।
নিয়মিত ডায়াবেটিস চেক করলে আপনি আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারবেন। নিয়মিত ব্লাড সুগার চেক করার জন্য এখন আরোগ্যতে সেরা দামে Blood Sugar Monitor machine পাওয়া যাচ্ছে। এই ছোট্ট ব্লাড গ্লুকোজ মিটারটি দিয়ে আপনি ঘরে বসেই নির্ভূলভাবে আপনার ব্লাড সুগার চেক করতে পারবেন।
উপসংহার
ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় তা নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উপরের আলোচনা থেকে আমরা জেনেছি যে, আমাদের খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের কথা মাথায় রেখে আপনার সকালে, দুপু্রে ও রাতের ডায়েট ঠিক করা উচিত। মনে রাখাবেন সঠিকভাবে খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিয়মিত ব্লাড সুগার চেক করুন, সঠিক ডায়েট মেনে চলুন, ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচুন।
FAQ
১। কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে
ডায়াবেটিস দ্রুত কমানোর জন্য অবশ্যই ওরাল ডায়াবেটিক ওষুধ সেবন করতে হবে। এর পাশাপাশী মেথী, জামের বীজ, অ্যালোভেরা, ও সুষম ডায়েট গ্রহন করলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে দ্রুত ডায়াবেটিস কমবে।
২। আমাকে কি একটি খাদ্য তালিকা অনুসরণ করতে হবে?
ডায়াবেটিসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো একটি খাদ্য তালিকা নেই। তবে আপনার ডাক্তার আপনার জন্য একটি ডায়েট প্ল্যান তৈরি করে দিতে পারে।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট প্ল্যান নিম্নরূপ:
- মোট ক্যালরির ৪০% থেকে ৬০% কার্বোহাইড্রেট থেকে
- মোট ক্যালরির ২০% প্রোটিন থেকে
- মোট ক্যালরির ৩০% বা তার কম চর্বি থেকে
আপনার ডায়েটের মধ্যে কম কোলেস্টেরল, কম লবণ এবং কম চিনি থাকতে হবে।
২। ডায়াবেটিস প্লেট কি?
ডায়াবেটিস প্লেট হলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন এবং পরিমাণ ঠিক করতে ব্যবহৃত একটি সহজ পদ্ধতি। এই প্লেট পদ্ধতি খাদ্যের পুষ্টিগত ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মূলত, এটি একটি প্লেটের বিভিন্ন অংশে খাবারগুলোর বণ্টন কিভাবে করা উচিত তা নির্দেশ করে।
এই প্লেটের ৫০% থাকে নন স্টার্চি সবজি, ২৫% থাকে প্রোটিন এবং বাকি ২৫% থাকে কার্বোহাইড্রেড।
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)