আসছালামু আলাইকুম? প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় পাঠক পাঠিকা পবিত্র মাহে রমজান শেষ পর্যায়। এই পবিত্র মাসের শেষের দশ দিনের বেজোড় রাত্রিতে রয়েছে হাজার মাসের অপেক্ষায় উত্তম শবে কদরের রাত।
শবে কদর:- পবিত্র কোরআন মাজিদে সূরা কদর নামে একটি সূরা রয়েছে। এই সূরায় আল্লাহ তায়ালা বলেন-
اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنٰہُ فِیۡ لَیۡلَۃِ الۡقَدۡرِ ۚ
নিশ্চয়ই আমি এ (কুরআন)কে অবতীর্ণ করেছি মর্যাদাপূর্ণ রাত্রিতে (শবেকদরে)। [ অর্থাৎ, এই রাতে তা (কুরআন) অবতীর্ণ আরম্ভ করেছেন। অথবা তা 'লাওহে মাহ্ফূয' হতে দুনিয়ার আসমানে অবস্থিত 'বাইতুল ইযযাহ'তে এক দফায় অবতীর্ণ করেছেন। আর সেখান থেকে প্রয়োজন মোতাবেক নবী (সাঃ) এর উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তা ২৩ বছরে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। জ্ঞাতব্য যে, 'লাইলাতুল কদর' রমযান মাসেই হয়ে থাকে; অন্য কোন মাসে নয়। এর প্রমাণ, মহান আল্লাহ বলেছেন, "রমযান মাস; যাতে কুরআনকে অবতীর্ণ করা হয়েছে।" (সূরা বাক্বারাহ ২:১৮৫ নং আয়াত)
এই সূরার অন্য আয়াতে বলেন
لَیۡلَۃُ الۡقَدۡرِ ۬ۙ خَیۡرٌ مِّنۡ اَلۡفِ شَہۡرٍ
মর্যাদাপূর্ণ রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। অর্থাৎ, এক রাত্রির ইবাদত হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা উত্তম। আর হাজার মাসে ৮৩ বছর ৪ মাস হয়। উম্মতে মুহাম্মাদিয়ার উপর কত বড় আল্লাহর অনুগ্রহ যে, তিনি তাকে তার সংক্ষিপ্ত আয়ুষ্কালে অধিকাধিক সওয়াব অর্জন করার সহজ পন্থা দান করেছেন।
تَنَزَّلُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ الرُّوۡحُ فِیۡہَا بِاِذۡنِ رَبِّہِمۡ ۚ مِنۡ کُلِّ اَمۡرٍ ۙ
ঐ রাত্রিতে ফিরিশতাগণ ও রূহ (জিবরীল) অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। এখানে 'রূহ' বলে জিবরীল (আঃ)-কে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, জিবরীল (আঃ) সহ ফিরিশতাগণ এই রাতে ঐ সকল কর্ম আঞ্জাম দেওয়ার উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে অবতরণ করেন, যা আল্লাহ এক বছরের জন্য ফায়সালা করে থাকেন।
سَلٰمٌ ۟ۛ ہِیَ حَتّٰی مَطۡلَعِ الۡفَجۡرِ
শান্তিময়- সেই রাত্রি ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।
[অর্থাৎ এতে কোন প্রকার অমঙ্গল নেই। অথবা এই অর্থে 'শান্তিময়' যে, মু'মিন এই রাতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকে। অথবা 'সালাম'-এর অর্থ প্রচলিত 'সালাম'ই। যেহেতু এ রাতে ফিরিশতাগণ ঈমানদার ব্যক্তিদেরকে সালাম পেশ করেন। কিংবা ফিরিশতাগণ আপোসে এক অপরকে সালাম দিয়ে থাকেন।
শবেকদর রাত্রের জন্য নবী (সাঃ) খাস দু'আ বলে দিয়েছেনঃ 'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউবুন তুহিব্বুল আফ্ওয়া ফা'ফু আন্নী।'
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে পছন্দ কর। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
(তিরমিযী দা'ওয়াত পরিচ্ছেদ, ইবনে মাজাহ দু'আ অধ্যায়, দু'আ বিল্আফবে ওয়াল আফিইয়াহ পরিচ্ছেদ।)
শবে কদর কত রমজানে?
রাসুল (সা:) রমজানের শেষ দশকে কদরের রাত অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর। ’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম
রমজান মাসের ২৭ তারিখের রাতে শবে কদর হওয়ার ব্যাপারেও বর্ণনা রয়েছে। হজরত মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান (রা.) থেকে বর্ণিত-হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘কদরের রাত হলো- সাতাশের রাত। ’ -সুনানে আবু দাউদ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সঙ্গে কদরের রাতে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তার পেছনের সব পাপ মার্জনা করবেন। ’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি বাংলা উচ্চারণ অর্থ সহ
আরবি বাংলা উচ্চারণ:- নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া`লা রাকআ`তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।’
বাংলা নিয়ত অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।
শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম
শবে কদরের নামাজ পড়ার বিশেষ কোন নিয়ম নেই। অন্যান্য নফল নামাজের মত দুই রাকাত করে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে আদায় করতে হয়।
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত?
শবে কদরের নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত কোথাও উল্লেখ্য নেই। দুই রাকাত করে যত খুশি ইচ্ছা পড়তে পারেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরআন তেলাওয়াত করবেন, জিকির, দোয়া, ইস্তেগফার পড়বেন এবং তওবা করবেন। বেশি বেশি করে সুরা কদর ও সুরা ইখলাস পড়তে পারেন। নামাজ শেষে একটি দোয়া কমপক্ষে ১০০ বার পড়তে পারেন। দোয়াটি হলো_
‘সুব্হানাল্লাহি ওয়াল হাম্দু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা হা’ওলা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল্ আলীয়্যিল আযীম।’
শবে কদরের দোয়া
হযরত আয়েশা রা: বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা: কে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ- যদি কোনো প্রকারে আমি জানতে পারি রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে কি দোয়া করব? জবাবে নবী সা: বলেন, এ দোয়া পড়বে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুব্বুন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।” অর্থাৎ ‘আয় আল্লাহ তুমি বড়ই মাফ করণেওয়ালা এবং বড়ই অনুগ্রহশীল। মাফ করে দেয়াই তুমি পছন্দ কর।
অতএব তুমি আমাদেরা গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও।’
>> رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ
উচ্চারণ : 'রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।'
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।' (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)
>> رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ : 'রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।'
অর্থ : 'হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।' (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)
>> رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ
উচ্চারণ : 'রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।'
অর্থ : '(হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।' (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)
>> رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : 'রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ক্বিনা আজাবান নার।'
অর্থ : হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং তুমি আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর।' (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৬)
>> رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
উচ্চারণ : 'রাব্বানা জ্বালামনা আংফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন।'
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবো।' (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
>> رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ
উচ্চারণ : 'রাব্বানাগফিরলি ওয়া লিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।'
অর্থ : হে আমাদের প্রভু! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন তুমি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা কর।' (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)
>> سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ
উচ্চারণ : 'সামিনা ওয়া আত্বানা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছির।'
অর্থ : ‘আমরা (আপনার বিধান) শুনলাম এবং মেনে নিলাম। হে আমাদের রব! আমাদের ক্ষমা করুন। আপনার দিকেই তো (আমাদের) ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা আল-বাকারাহ : আয়াত ২৮৫)
>> رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلاَنَا
উচ্চারণ : 'ওয়াফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা আংতা মাওলানা ফাংছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।'
অর্থ : 'হে আমাদের রব! যে বোঝা বহন করার সাধ্য আমাদের নেই, সে বোঝা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ো না। আমাদের পাপ মোচন করুন। আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। তুমিই আমাদের প্রভু।' (সুরা বাকারাহ : আয়াত ২৮৬)
>> رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْإِيْمَانِ
উচ্চারণ : 'রাব্বানাগফিরলানা ওয়ালি ইখওয়ানিনাল্লাজিনা সাবাকুনা বিল ঈমানি।'
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের ক্ষমা করুন এবং যারা আমাদের আগে যারা ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদেরকেও ক্ষমা করুন।' (সুরা হাশর : আয়াত ১০)
>> رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِيْ أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ
উচ্চারণ : 'রাব্বানাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফি আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্বদামানা ওয়াংছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।'
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন। আমাদের কাজের মধ্যে যেখানে তোমার সীমালঙ্ঘন হয়েছে, তা মাফ করে দিন। আমাদের কদমকে অবিচল রাখুন এবং অবিশ্বাসীদের মোকাবেলায় আমাদের সাহায্য করুন।' (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৪৭)
>> رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
উচ্চারণ : 'রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সায়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মাআল আবরার।'
অর্থ : 'হে আমাদের প্রভু! সুতরাং আমাদের গোনাহগুলো ক্ষম করুন। আমাদের ভুলগুলো দূর করে দিন এবং সৎকর্মশীল লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করুন।' (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯৩)
মুমিন মুসলমানের উচিত, সেজদায় গিয়ে তাসবিহ পড়ে কিংবা শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ ও দরূদ পড়ার পর নিজেদের গোনাহ থেকে মুক্তির জন্য কুরআনে বর্ণিত এ দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো শবে কদরের এ ছোট্ট দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। নামাজের সেজদা ও তাশাহহুদে ক্ষমা লাভের কুরআনি দোয়াগুলো পড়ার তাওফিক দান করুন। প্রত্যেক রোজাদার মুমিন মুসলমানকে লাইলাতুল কদর লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
শবে কদরের নামাজ নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
শবে কদরের নামাজ নফল না সুন্নত
উত্তরঃ শবে কদরের নামাজ নফল।
শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে না পরে
উত্তরঃ-রমজান ছাড়া অন্য সময়ে রাতের শেষ ভাগে বিতর পড়া উত্তম। কিন্তু রমজান মাসে তারাবী শেষে জামাতে বিতর পড়া উত্তম।
এ কারণে তারাবী শেষে জামাতে বিতর না পড়ে আগে নফল নামায পড়ার জন্য বাধ্যবাধকতা করা যাবে না। এমনিতে পড়তে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না।
লাইলাতুল কদরের ফযীলত পাবার আশায় নফল নামায সারা রাতব্যাপীই পড়া যায়। তারাবীর সাথে সাথেই পড়তে হবে এমনটি মনে করার কোন সুযোগ নেই। তাই এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কদরের নামাজ জামাতে পড়া যাবে কি
উত্তরঃ না, কদরের নামাজ নফল আর নফল নামাজ জামাতে পড়ার নিয়ম নেই।একা একা যত ইচ্ছা পড়তে পারবেন।
Tag:Shab e Qadr 2024 : লাইলাতুল কদরের নামাজ,নিয়ম,নিয়ত,সূরা,দোয়া আরবি বাংলা উচ্চারণ সহ
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)