আসছালামু আলাইকুম প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা সবাইকে আমাদের Educationblog24.com এর পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসা করি সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমরা ও ভালো আছি। পবিত্র মাহে রমজান শেষ পর্যায়ে তাই আমাদের এখন ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। যেহেতু প্রতি বছরে ঈদ আসে তাই অনেকে ঈদের নামাজের নিয়ম ভূলে যায়। তাই আজকে আমরা আমাদের ঈদের নামাজ কয় তাকবীর ও ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ঈদের নামাজের গুরুত্বের ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। হানাফী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ওয়াজিব, মালিকি ও শাফেয়ী মাযহাব অনুসারে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং হাম্ববলী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ফরজ। কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে আইন এবং কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে কেফায়া। কিন্তু কারো কারো মতে ঈদের দুই রাকায়াত নামাজ নফল।
ঈদের নামাজ জামাতে আদায় করতে হয়। সেটা হতে পারে বড় মাঠে বা ঈদগাহে। যদি এই দিকে কোন ব্যবস্থা না থাকে তাহলে মসজিদে পড়তে পারেন।
ঈদের নামাজ কয় তাকবীর
উত্তরঃ- ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় কিংবা বারো তাক্ববির রয়েছে।
ছয় তাকবিরের ক্ষেত্রে প্রথম রাক্বাতের শুরুতে অতিরিক্ত তিন তাক্ববির এবং দ্বিতীয় রাক্বাতে অতিরিক্ত তিন তাক্ববির দিতে হয়। প্রথম রাক্বাতে সানা পাঠের পর কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে পর পর তিন তাক্ববির বলতে হয়। দ্বিতীয় রাক্বাতে সুরা পাঠান্তে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাক্ববির বলতে হয়। অতিরিক্ত তাক্ববির বলার পর কানের লতি থেকে হাত নামিয়ে আনতে হয়।
বারো তাকবিরের ক্ষেত্রে প্রথম রাক্বাতের শুরুতে অতিরিক্ত সাত তাকবির এবং দ্বিতীয় রাক্বাতের শুরুতে অতিরিক্ত পাঁচ তাক্ববির দিতে হয়। প্রথম রাকাতে সানা পাঠের পর কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে পর পর সাতবার তাক্ববির বলতে হয়। দ্বিতীয় রাকাতে সুরা পাঠা শুরুর পূর্বে অতিরিক্ত পাঁচ তাকবির বলতে হয়।
ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
পাঠক বন্ধুরা ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলোঃ-
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহে তায়ালা রাকায়াতাই সালাতে ঈদিল ফিতর মাআ সিত্তাতে তাকবীরাতি অয়াজিবুল্লাহে তায়ালা ইক্তাদাইতু বি-হাযাল্ ইমামে মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শরিফাতে আল্লাহু আকবর।
ঈদের নামাজের নিয়ত বাংলায়
ঈদের দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি- 'আল্লাহু আকবার'।
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
- ঈমামের সঙ্গে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে উভয় হাত বাঁধা।
- তাকবিরে তাহরিমার পর ছানা পড়া-' সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
- এরপর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেওয়া।
- এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা।
- প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া।
- তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়।
- আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়া
- সুরা ফাতেহা পড়া
- সুরা মিলানো। এরপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।
দ্বিতীয় রাকাত
- বিসমিল্লাহ পড়া
- সুরা ফাতেহা পড়া
- সুরা মিলানো।
- সুরা মিলানোর পর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেওয়া।
- প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া।
- তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়।
- এরপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া।
- সেজদা আদায় করে
- বৈঠকে বসা; তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
- নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া।اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد
১১. নামাজের পর ইমাম সাহেবের দুইটি খুতবা দেওয়া।
ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবে আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবে। অবশ্য অনেকেই খুতবা না দেওয়ার ব্যাপারে শিথিলতার কথা বলেছেন। খুতবা না দিলেও ঈদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে বলে মত দিয়েছেন
ঈদুল ফিতরের নামাজের তাকবীর
Tag:ঈদের নামাজ কয় তাকবীর, ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)