এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান ইতিহাস (৪র্থ সপ্তাহ)-এসাইনমেন্ট-৩ | ২০২১ সালের এইচএসসি ৪র্থ সপ্তাহের ইতিহাস এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর | এইচএসসি ৪র্থ সপ্তাহের ইতিহাস এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১


Any business enquiry contact us

Email:- Educationblog24.com@gmail.com



এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান ইতিহাস (৪র্থ সপ্তাহ)-এসাইনমেন্ট-৩ 


২০২১ সালের এইচএসসি ৪র্থ সপ্তাহের ইতিহাস এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর  


শিরোনামঃ ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল

সমাধানঃ


ক) নং প্রশ্নের উত্তরঃ 

লর্ড কার্জন ভাইসরয় থাকাকালীন সময়ে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয় । এটি আধুনিক বাংলার ইতিহাসে অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। বঙ্গভঙ্গের প্রয়ােজনীয়তা ছিলাে ব্যাপক । ১৭৬৫ সাল থেকে বিহার ও উড়িষ্যা সমম্বয়ে গঠিত বাংলা ব্রিটিশ ভারতের একটি একক প্রদেশ হিসেবে বেশ বড় আকার ধারণ করেছিল । এর ফলে প্ৰদেশটির প্রশাসনকার্য পরিচালনা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে এবং এজন্য এটিকে বিভক্ত করার প্রয়ােজন হয়ে পড়ে । বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে ১৮৯,০০০ বর্গ মাইল এলাকা শাসন করতে হতাে এবং ১৯০৩ সাল নাগাদ প্রদেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৭ কোটি ৮৫ লক্ষে দাঁড়ায় । এর ফলস্বরূপ পূর্ব বাংলার অনেকগুলি জেলা কার্যত বিচ্ছিন্ন এবং অনুন্নত যােগাযােগ ব্যবস্থার কারণে অবহেলিত ছিল।

ফলে এতদঞ্চলের সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে । নদ - নদী ও খাঁড়িসমূহ দ্বারা অত্যধিক বিচ্ছিন্ন পূর্ববাংলার গ্রামাঞ্চলে পুলিশী কাজ চালানাে অসুবিধাজনক হলেও উনিশ শতকের শেষ দশক পর্যন্ত সেখানে আলাদা মনোেযােগ প্রদান করা হয় নি । জলপথে সংঘবদ্ধ জলদস্যুতা অন্তত এক শতাব্দীকাল বিদ্যমান ছিল । যার জন্য বঙ্গভঙ্গের প্রয়ােজনীয়তা ছিলাে। 


খ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ 

বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ছিলাে মুসলমান সমাজের প্রতিক্রিয়া।  বঙ্গভঙ্গের ফলে নতুন প্রদেশ তথা পূর্ববঙ্গ ও আসামের রাজধানী হয় ঢাকা । রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে । ফলে মুসলমানগণ নানাবিধ সুযাগেসুবিধা লাভে সক্ষম হয়।  অফিস - আদালত , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বড় বড় সুরম্য অট্টালিকা গড়ে ওঠায় ঢাকার শ্রীবৃদ্ধি ঘটে । বঙ্গভঙ্গকে মুসলমানগণ তাদের হৃত গৌরব ও মর্যাদা ফিরে পাবার আনন্দে মেতে ওঠে । নবাব স্যার সলিমুল্লাহ পরিকল্পনাটি কার্যকর করার দিন ঢাকার এক জনসভায় বলেন , “ বঙ্গভঙ্গ আমাদেরকে নিষ্ক্রিয়তার হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে । এটা আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে কর্ম সাধনায় এবং সংগ্রামে।  ” 

অর্থাৎ বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ব বাংলার গণমানুষের ভাগ্যোন্নয়নের দ্বার উন্মােচিত হয় । অন্যদিকে বিপক্ষে ছিলাে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া।  বঙ্গভঙ্গের বিরম্নদ্ধে হিন্দুদের অবস্থান ছিল খুবই কঠিন । বাংলার উচ্চ ও মধ্যবিত্ত হিন্দুরাই এর বিরুদ্ধে প্রচন্ড ঝড় তুলেছিল । তারা প্রচার করেন যে , বঙ্গভঙ্গ বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের সমতুল্য । জাতীয়তাবাদী চিন্তাচেতনায় বিকশিত হিন্দু জনসমাজ মনে করেন যে , ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য বঙ্গভঙ্গ করা হয়েছে । হিন্দু লেখক , সাহিত্যিক , বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতাগণ বঙ্গভঙ্গকে বাঙালি জাতির বিকাশমান ধারাকে সমতুলা নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র বলে প্রচার করেন । 

ব্রিটিশ সরকারের এই বিভেদ ও শাসন নীতির বিরুদ্ধে তারা প্রচন্ড গণআন্দোলন গড়ে তােলেন ফলে ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের জন্য স্বদেশী আন্দোলন ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ উত্তরােত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে ।


গ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ 

উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতে জাতীয়তাবােধের উন্মেষ লক্ষ্য করা যায় । ১৮৫৩ খ্রি . ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চার্টার নবায়নের প্রাক্কালে শিক্ষিত ও সচেতন ভারতীয়দের মধ্যে সংগঠন গড়ার প্রবণতা দেখা যায় । এর কারণ ছিল ভারতীয়দের দাবি - দাওয়া কোন সংস্থার মাধ্যমে বৃটিশ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করার তাগিদ । অর্থাৎ এই সময়ে ভারতীয়দের মধ্যে রাজনীতি - সচেতনতা এবং দেশাত্মবােধের জন্ম হয় । 

কাজেই ১৮৮৫ খ্রি . ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পটভূমি ছিল পূর্ববর্তী ত্রিশ বছর সময়ে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন স্থানীয় এবং শ্রেণীভিত্তিক সংগঠন ও সেগুলাকের কার্যক্রম সূচিত হওয়া ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ন্যাশনাল এসাসিয়েশন এবং অক্টোবর মাসে বৃটিশ ইন্ডিয়ান এসাসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয় । উনিশ শতকের শেষার্ধে জাতীয়তাবােধ আরাে প্রসার লাভ করে । ইংরেজি শিক্ষার বিস্তার যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নয়ন , সংবাদপত্রের মাধ্যমে বৃটিশ শাসনের ভালমন্দ সম্পর্কে আলােচনা ইত্যাদি ছিল এর প্রধান কারণ । তবে প্রাথমিক পর্যায়ে জাতীয় চেতনা উচ্চবিত্ত , মধ্যবিত্ত , শিক্ষিত এবং শহুরে শ্রেণীর মধ্যে সীমিত ছিল । 

আলােচ্য সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত সংগঠন ছিল Indian Association বা ভারতসভা।  ১৮৭৬ খ্রি . সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী এবং আনন্দমােহন বসু এটি প্রতিষ্ঠা করেন।  সুরেন্দ্রনাথ একে “ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর রাজনৈতিক সচেতনতার প্রথম সংঘবদ্ধ রূপ ” বলে উল্লেখ করেন।  ইন্ডিয়ান এসাসিয়েশন এবং ন্যাশনাল মােহামেডান এসােসিয়েশনের মধ্যে কোন প্রকার বৈরী সম্পর্ক ছিল না । ১৮৮৩ খ্রি . ইলবার্ট বিল সম্পর্কিত আন্দোলনে এই দুই সংগঠন পারস্পরিক সহযােগিতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করে এভাবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি হয় । 


প্রথমদিকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বৎসর ব্যাপী কোনাে কার্যক্রম ছিল না।  নেতারা শুধু বার্ষিক সম্মেলনে যােগদান করে বিভিন্ন বিষয়ে আলােচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন । কতিপয় জমিদার এবং দেশীয় রাজা এই প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন করতেন।  যেসব প্রতিনিধি সম্মেলনে আসতেন তাঁরা প্রায় সবাই ছিলেন উচ্চশ্রেণীর হিন্দু এবং প্রধানত আইনজীবী । গান্ধীর অসহযােগ আন্দোলনের ফলে ভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের অবস্থানের উন্নতি হয় এবং এর ফলে বিশের দশকে কংগ্রেস জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক একটি অগ্রগামী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ।


ঘ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ 

লর্ড কার্জন কর্তৃক ১৯০৫ খ্রি . সম্পাদিত বঙ্গবিভাগকে কেন্দ্র করে হিন্দু - মুসলিম সাম্প্রদায়িক বিরােধ জোরদার হয় | বঙ্গবিভাগ বিরােধী আন্দোলনের পুরােভাগে ছিল কলিকাতাকেন্দ্রিক শিক্ষিত হিন্দু পেশাজীবী শ্রেণী । নতুন সৃষ্ট প্রদেশ পূর্ববঙ্গ ও আসাম ' মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল বিধায় বঙ্গবিভাগের ফলে মুসলমানগণ লাভবান হবে এই ছিল সাধারণ ধারণা । ফলে অল্প সংখ্যক শিক্ষিত মুসলমান ব্যতীত বাংলার বেশির ভাগ মুসলমান বঙ্গ বিভাগের পক্ষে ছিল । বঙ্গবিভাগের পক্ষে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ঢাকার নওয়াব সলিমুল্লাহ । 

বঙ্গবিভাগ প্রসূত বিক্ষোভ , আন্দোলন , লেখালেখি , বক্তৃতা - বিবৃতি ইত্যাদির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতার সৃষ্টি হয় । ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমান নেতৃবৃন্দ একটি রাজনৈতিক সংগঠনের প্রয়ােজন অনুভব করেন । এ - ই ছিল মুসলিম লীগ নামক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশসমূহ হলাে বৃটিশ সরকারের প্রতি ভারতীয় মুসলমানদের আনুগত্য বৃদ্ধি করা এবং কোন সরকারি নীতির উদ্দেশ্য সম্পর্কে মুসলমানদের ভুল ধারণার অবসান করা ; ভারতের মুসলমানদের রাজনৈতিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা , উন্নয়ন সাধন এবং তাদের প্রয়ােজন ও আশা - আকাঙ্ক্ষার কথা সরকারের নিকট সসম্মানে পেশ করা ; মুসলমানদের মধ্যে যাতে অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি বৈরী মনােভাব জাগ্রত না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা।



এইচএসসি ৪র্থ সপ্তাহের ইতিহাস এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১ Pdf


                Click Here To Download 


Tag: এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান ইতিহাস (৪র্থ সপ্তাহ)-এসাইনমেন্ট-৩,  ২০২১ সালের এইচএসসি ৪র্থ সপ্তাহের ইতিহাস এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর,  এইচএসসি ৪র্থ সপ্তাহের ইতিহাস এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১ Pdf


Any business enquiry contact us

Email:-Educationblog24.com@gmail.com

(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)


                               

 

কিভাবে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করবেন এবং পাসওয়ার্ড কি দিবেন? বিস্তারিত জেনে নিন



Previous Post Next Post