এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর /সমাধান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র (এসাইনমেন্ট ২) | ২০২১ সালের এইচএসসি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এসাইনমেন্ট সমাধান (২য় পত্র)


Any business enquiry contact us

Email:- Educationblog24.com@gmail.com




২০২১ সালের এইচএসসি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এসাইনমেন্ট সমাধান (২য় পত্র)


শিরােনাম : ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা  

সমাধান:

ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার সময় পরিক্রমা অনুযায়ী উল্লেখযােগ্য ঘটনাবলির সংক্ষিপ্ত বিবরণসহ একটি পােস্টার পেপার তৈরি করা হল :
ক ) মুহাম্মদ বিন কাসিমের অভিযানের কারণ : 

তৎকালীন ভারতের সিন্ধু ও মুলতানের রাজা ছিলেন দাহির । আরব সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ ইরাক প্রদেশের গভর্ণর ছিলেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ । সিন্ধু ও মুলতানের সাথে আরব শাসনের সাধারণ সীমান্ত ছিল । নানা কারণে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ও রাজা দাহিরের মধ্যে মতপার্থক্য হয় । এ কারণে হাজ্জাজ ভারতের সিন্ধু জয় করার জন্য তার জামাতা ও ভাতুস্পুত্র মুহম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে ৭১২ খ্রিস্টাব্দে এক বিজয় অভিযান প্রেরণ করেন । 

পরােক্ষ ও প্রত্যক্ষ কারণসমূহ : 
সিন্ধু বিজয়ের পরােক্ষ কারণসমূহের মধ্যে ছিল অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণ এবং প্রত্যক্ষ কারণের মধ্যে ছিল জলদস্যুদের দ্বারা আরব বণিকদের জাহাজ লুণ্ঠন ।

অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণ : ভারত ধন - ঐশ্বর্যের জন্য বিখ্যাত ছিল । আরবদের সিন্ধু অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ধনরত্ন লাভ করা । রাজা দাহিরের রাজ্য ও আরব সাম্রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত অভিন্ন হওয়ায় দুই রাজ্যের মধ্যে প্রায়ই মতানৈক্য ও মতবিরােধ সৃষ্টি হতাে এবং সীমান্ত সংঘর্ষ লেগেই থাকত । হাজ্জাজ ছিলেন কঠোর প্রকৃতির শাসক । আইনের শাসন এড়িয়ে হাজ্জাজের অঞ্চল থেকে অনেক অপরাধী রাজা দাহিরের রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিল । এ সকল কারণে রাজনৈতিক তিক্ততা উত্তরােত্তর বাড়তে থাকে । এই সময় সিন্ধুতে চলছিল রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দাহির ছিলেন অত্যাচারী শাসক । নিম্নশ্রেণির লােকেরা ছিল অত্যাচারিত , বৌদ্ধ | সম্প্রদায়ের কোনাে রাজনৈতিক অধিকার ছিল না । সুতরাং এ সুযােগ কাজে লাগিয়ে হাজ্জাজ সিন্ধু জয় করে সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটাতে চেয়েছিলেন । ভারতে ইসলাম প্রচার করাও হাজ্জাজের একটি উদ্দেশ্য ছিল। 

খ ) সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের উদ্দেশ্য ফলাফল : 
রাজনৈতিক কারণ : 
সুলতান মাহমুদের পিতা সবুক্তগীনের সময় থেকে গজনির সাথে পাঞ্জাবের হিন্দুশাহী বংশের বিরােধ চলছিল । পাঞ্জাবের হিন্দুশাহী রাজ্যের রাজা জয়পাল সবুক্তগীনের শত্রু হওয়ায় সুলতান মাহমুদ জয়পালের সাথে শত্রুতা উত্তরাধিকার সত্রেই পেয়েছিলেন । ভারতের অনেক রাজা জয়পালের সাথে মাহমুদ বিরােধী জোটে যােগদান করেন । সুতরাং মাহমুদকে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করতে হয় । আবার ভারতের কোন কোন রাজা মাহমুদের সাথে বন্ধুত্ব সূত্রে আবদ্ধ হয় । এতে তাদের প্রতিবেশী রাজন্যবর্গ তাদের প্রতি বৈরী আচরণ শুরু করেন । rn to মিত্রবর্গের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যও মাহমুদকে ভারতে অভিযান করতে হয় । পরাজিত রাজারা মাহমুদের সাথে সন্ধি করেন । তাদের মধ্যে কেউ কেউ সুযােগ পেয়ে সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করেন । বিদ্রোহী রাজাদের সন্ধির শর্ত পালনে বাধ্য করার জন্যও মাহমুদকে অভিযান করতে হয় । 

অর্থনৈতিক কারণ : 
সুলতান মাহমুদ রাজধানী গজনিকে তিলােত্তমা নগরীতে পরিণত করতে চেয়েছিলেন । তিনি ছিলেন জ্ঞানী - গুণীর পৃষ্ঠপােষক । তাঁর ছিল একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী । তিনি দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তােলেন । এসবের জন্য তার প্রচুর অর্থের প্রয়ােজন ছিল । তখন ভারত ছিল সম্পদশালী দেশ 
এখানকার বিভিন্ন রাজ্যের কোষাগার ধনরত্নে পূর্ণ ছিল । ধর্মপ্রাণ বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ অকাতরে মন্দিরগুলােতে দান করতাে । মন্দিরকে নিরাপদ বিবেচনা করে অনেক সময় রাজারাও তাতে ধনরত্ন সংরক্ষণ করতেন । সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই সুলতান মাহমুদের নজর ভারতের উপর পড়ে । এজন্য তিনি প্রায় প্রতি বছর ভারতে অভিযান প্রেরণ করেন এবং ভারত থেকে প্রচুর ধন - রত্ন নিয়ে নিজ দেশে ফিরে  যান । প্রফেসর হাবিব , প্রফেসর নাজিম ও হেইগ প্রমুখ আধুনিক ঐতিহাসিকগণ সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক কারণকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছেন । তাই বলে মাহমুদকে লুণ্ঠনকারী বা অর্থলােলুপ তস্কর বলা যাবে । কারণ ভারত থেকে সংগৃহীত অর্থ তিনি মানব কল্যাণে ব্যয় করেন । নিজের ভােগ - বিলাসের জয় তিনি সে অর্থ ব্যবহার করেন নি।  
সামরিক উদ্দেশ্য : 
সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণের পাশাপাশি সামরিক উদ্দেশ্য ছিল । তঁার রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য উত্তর - পশ্চিম সীমান্তপ্রদেশ , পাঞ্জাব ও সিন্ধু দখল করা অত্যন্ত প্রয়ােজন ছিল । এ সকল অঞ্চল ছিল সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দক্ষ সমরবিদ হিসেবে তার অশ্বারােহী ও পদাতিক বাহিনী ছিল সমরনিপুণ । তিনি বুঝতে পারেন এ সকল অঞ্চল জয় তিনজন ছিল সুশৃংঙ্খল ও করতে তাকে খুব একটা বাধার সম্মুখীন হতে হবে না সুতরাং তিনি বার বার ভারত আক্রমণ করে তার সামরিক উদ্দেশ্য হাসিল করেছিলেন ।

ধর্মীয় উদ্দেশ্য : 
সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের পশ্চাতে কোন an কোন ঐতিহাসিক ধর্মীয় উদ্দেশ্যও কার্যকর ছিল বলে মনে করেন । তাদের মতে তিনি ভারতে ইসলাম প্রচারে অভিলাষী ছিলেন । কিন্তু আধুনিক ঐতিহাসিকগণ এই মত সমর্থন করেন না । তারা মনে করেন মাহমুদের যুগে শাসকগণ ইসলাম প্রচার করা তেমন কর্তব্য বলে মনে করতেন না । তিনি ভারত অভিযানে এসে কোন বিধর্মীকে বলপর্বক ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করেন নি । এছাড়া মাহমুদ হিন্দুমন্দির দখল করেছেন ধর্ম বিদ্বেষের কারণে নয় , বরং অর্থ পাওয়ার আশায় । এ সকল মন্দির ছিল যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত সম্পদে পূর্ণ । সর্বোপরি তার সেনাবাহিনীতে হিন্দু সৈন্যের উপস্থিতি তার ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যকে অনুমােদন করে না ।

সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের ফলাফল : 
সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের প্রভাব সমগ্র উত্তর - পশ্চিম ভারতে অনুভূত হয় । রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই অভিযানের প্রভাব ছিল ব্যাপক । সুলতান মাহমুদ অভিযান করেছেন , জয়লাভ করেছেন এবং ধন - সম্পদ নিয়ে নিজের রাজ্য গজনিতে ফিরে গিয়েছেন । শুধু পাঞ্জাবের কিয়দংশ এবং মুলতান ছাড়া ভারতের কোনাে অঞ্চল তার সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন নি এবং কোন স্থায়ী সাম্রাজ্যও প্রতিষ্ঠা করেন নি । কয়েকজন রাজা অবশ্য তাকে কর দিতে বাধ্য হয়েছিলেন । কিন্তু ১০৩০ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যুর সাথে সাথে এই সকল রাজা কর প্রদান বন্ধ করেন । তবে এ কথাও সত্য যে , সুলতান মাহমুদের বিজয় স্থায়ী না হলেও তার বিজয়ই পরবর্তীকালে মুসলমানদের ভারত বিজয়ের পথ সুগম করেছিল । সুলতান মাহমুদের বার বার আক্রমণ উত্তর ভারতের রাজন্যবর্গের সামরিক শক্তি দুর্বল করে দিয়েছিল । সামরিক , প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন বলে পরবর্তী মুসলমান আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভবপর হয় নি । সুলতান মাহমুদের অভিযানের সময় ভারতীয় সামরিক শক্তি ও রণকৌশল মুসলমগধ সামরিক শক্তি ও রণকৌশলের তুলনায় যে কত দুর্বল তা প্রকটভাবে ধরা পড়ে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের ফলাফল ছিল লক্ষ্যনীয় । তিনি ভারতীয় পন্ডিতদের নিকট ভারতের দর্শন , সমাজ ব্যবস্থা ও কৃষি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করেন । এর ফল স্বরূপ তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ কিতাব - উল - হিন্দ ' প্রণয়ন করেন | গ্রন্থটি ভারত ইতিহাসের অমূল্য উপকরণ । মাহমুদের অভিযানের ফলে ইসলামি সভ্যতা ও ভারতীয় সভ্যতার মধ্যে ভাব বিনিময় ঘটে।

গ ) মুইজউদ্দিন মুহাম্মদ ঘুরীর অভিযান পূর্ব ভারড়ে রাজনৈতিক অবস্থা :
 আফগানিস্তান , কাশ্মীর ও কনৌজ : মৌর্য বংশের শাসনামল থেকেই আফগানিস্তান ছিল ভারতের একটি অংশ । মুসলিম ঐতিহাসিকগণ এটিকে হিন্দুশাহী রাজ্য বলে অভিহিত করেন । সপ্তম শতাব্দিতে কর্কট রাজবংশীয় দুর্লভ বর্ধনের অধীনে কাশ্মীর ছিল উত্তর ভারতের অপর একটি স্বাধীন রাজ্য । তিনি কনৌজ , কামরূপ , কলিঙ্গ ও গুজরাট জয় করেন বলে জানা যায় । কর্কট বংশের অপর একজন শাসক জয়পীড় গৌড় ও কনৌজের নৃপতিদের পরাজিত করেন । অষ্টম শতাব্দী প্রথম দিকে কনৌজ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ রাজ্য হিসেবে পরিগণিত হত । তিনি গৌড় জয় এর রাজাকে হত্যা করেন এবং কাশ্মীর রাজ ললিতাদিত্যের সহায়তায় তিব্বত অভিযান করেন । তিনি চীনে দূত প্রেরণ করেন । কাশ্মীরের রাজা ললিতাদিত্য কর্তৃক তিনি পরাজিত ও নিহত হন । যশােবর্মণ , সিন্ধুরাজ দাহিরের সমসাময়িক ছিলেন অত : পর অষ্টম শতকের প্রথম দিকে কনৌজে গুরজর - প্রতিহার রাজবংশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।  

সিন্ধু ও মালব- দিল্লি ও আজমীর : সপ্তম শতকে সিন্ধু ছিল হর্ষবর্ধনের সাম্রাজ্যভুক্ত । পরবর্তীতে ' চাচ ' নামক সিন্ধুর জনৈক ব্রাহ্মণ মন্ত্রী সিন্ধুতে স্বাধীন রাজবংশের গােড়াপত্তন করেন । চাচের পত্র রাজা দাহির কে পরাজিত করে ইমাদউদ্দীন সিন্ধুতে স্বাধীন রাজবংশের গােড়াপত্তন করেন । চা পুত্র রাজা দাহির কে পরাজিত করে ইমাদউদ্দীন মুহাম্মদ বিন কাশিম ৭১২ সালে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন । তবে এ রাজ্য দীর্ঘস্থায়ী হয় নি । প্রতিহার রাজপুতদের দ্বারা শাসিত মালব ছিল উত্তর ভারতের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র । উজ্জয়িনী ছিল এ রাজ্যের রাজধানী । দ্বাদশ শতকে মুসলিম অভিযানের প্রাক্কালে দিল্লি ও আজমীরে শক্তিশালী চৌহান বংশীয় রাজপত্রগণ রাজত্ব করত ।

গুজরাট , আসাম ও নেপাল : মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে গুজরাট ছিল গুরজর প্রতীহার বংশের অধীনে । অত : পর তাদের আধিপত্য ক্ষুন্ন করে চালক ও ভাগেলা বংশ পর্যায়ক্রমে শাসন করে । নবম শতাব্দীতে চান্দেলা বংশ বুন্দেলখন্ডে এক স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে । শেষ রাজা গন্ড ১০১৯ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাহমুদের নিকট পরাজিত হন । ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর - পূর্ব প্রান্তসীমায় এক স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে । শেষ রাজা গন্ড ১০১৯ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাহমুদের নিকট পরাজিত হন । ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর পূর্ব প্রান্তসীমায় অবস্থিত একটি রাজ্য হল আসাম । এটি হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ স্বাধীন হয় । এ সময় রাজা শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার স্বাধীন নৃপতি । হর্ষবর্ধনের সমস্যময়িক এই শাসকের মৃত্যুর পর বাংলায় মারাত্মক গােলযােগ ও বিশৃংঙ্খলা দেয় । নেপাল সপ্তম শতাব্দিতে অপর একটি স্বাধীন রাজ্য।


এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর /সমাধান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র (এসাইনমেন্ট ১)


Tag: এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর /সমাধান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র (এসাইনমেন্ট ১),  ২০২১ সালের এইচএসসি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এসাইনমেন্ট সমাধান (২য় পত্র)


Any business enquiry contact us

Email:-Educationblog24.com@gmail.com

(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)


                               

 

কিভাবে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করবেন এবং পাসওয়ার্ড কি দিবেন? বিস্তারিত জেনে নিন



Previous Post Next Post