২০২১ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) ফ্লাওয়ার,ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভিশন-১ (২য় পত্র) এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর (২য় সপ্তাহ) | এসএসসি (ভোকেশনাল) ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ উত্তর ফ্লাওয়ার,ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভিশন-১ (২য় পত্র) | শাক ও সবজির বর্তমান অবস্থা উন্নয়নে পদক্ষেপ


Any business enquiry contact us

Email:- Educationblog24.com@gmail.com



এসএসসি (ভোকেশনাল) ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ উত্তর ফ্লাওয়ার,ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভিশন-১ (২য় পত্র)  


শাক ও সবজির বর্তমান অবস্থা উন্নয়নে পদক্ষেপ


সামাধানঃ

শাক ও সবজির বর্তমান অবস্থার বর্ণনাঃ 

প্রাচীনকাল থেকে মানুষ শাক সবজি খেয়ে আসছে । তবুও বাংলাদেশের জনগণ এখনাে সবজির খাদ্যমান ও অন্যান্য গুণাগুণ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না । বাংলাদেশে সবজি উৎপাদন সবজি উৎপদনের জমির ব্যবহার ও প্রকৃত উৎপাদন সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া অত্যন্ত কঠিন । কেননা মানুষ প্রয়ােজন মেটাতে বা শখের বশবর্তী হয়ে বাড়ির আশেপাশে , ঘরের চালে , বাড়ির ধারে , আনাচে কানাচে , গাছের উপর বাইয়ে দিয়ে সবজি উৎপাদন করে থাকে । অনেক সময় জমির আইলে , সাথী ফসল হিসেবে বা মিশ্র ফসল হিসেবে সবজি চাষ হয় । এরূপ অবস্থায় সবজির জমি ও উৎপাদনগত সঠিক তথ্য পাওয়া কষ্টসাধ্য । বাংলাদেশে ঋতু বৈচিত্রের কারেণ কিছু কিছু সবজি নির্দিষ্ট মৌসুমে সফলভাবে চাষ হয় । কিন্তু বাংলাদেশে প্রায় ৬০ টি শাক সবজি পাওয়া যায় । এগুলােকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করার জন্য তাদের অংশগুলােকে কয়েকটি ভাগে বিভাজন করা হয় । যেমন - পাতাজাতীয় , মূলজাতীয় , কন্সজতিীয় , কচুজাতীয় , শিমজাতীয় , কপিজাতীয় , কুমড়াজাতীয় ইত্যাদি । উৎপাদন মৌসুম হিসেবে শাক সবজি কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় । যেমন - শীতকালীন , গ্রীষ্মকালীন ও বারমাসি । শাক সবজির কতগুলাে বৈশিষ্ট্য আছে যেমন দ্রুত বর্ধনশীল , স্বল্প সময়ে উৎপাদন করা যায় এবং সহজে আহারপােযােগী হয় । শাক সবজির আহারের সাথে মানুষের স্বাস্থ্যের বিরাট সম্পর্ক আছে । যারা যত বেশি শাক - সবজি খাবে তাদের শরীর রােগবালাই তত কম হবে ।
সর্বজির বর্তমান উৎপাদন ব্যবস্থাঃ 

বাংলাদেশে সবজি চাষের অধীনস্থ জমি এবং এর উৎপাদন নির্ভুলভাবে জানার কোনাে উপায় নাই । বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গৃহস্থলীতে সবজির চাষ হয় । এ রকম পরিস্থিতিতে উৎপাদিত সবজি ও জমির পরিমাণ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য । তবুও নিচে একটি তথ্য দেয়া হলােঃ
সবাজির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ঃ 

সবজির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জাতীয় ও কৃষক পর্যায়ে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে সম্পর্কে তেমন কোন নীতিমালা প্রগ্নন করা হয়নি । শাক - সবজির উৎপাদন , ব্যবহার ও সার্বিক উন্নয়নে নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে । 

ঘাটতি মৌসুমে শাক সবজির উৎপাদন বৃদ্ধিঃ জলবায়ুগত কারণে বছরের সব সময় সবজির উৎপাদন সমান থাকে না যথাযথ উৎপাদন কৌশল ও উপযােগী জাতের ব্যবহারের মাধ্যমে ঘাটতি মৌসুমগুলােতে সবজি উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা যেতে পারে । 

শাক সবজি উৎপাদনে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করেঃ শীতকালীন শাক - সবজির চাষ অনেকাংশে পানিসেচ সুবিধার ওপর নির্ভরশীল । সেচের সুযােগ বৃদ্ধি করে সবজি চাষাধীন জমি বাড়ানাে সম্ভব ।

শাক সবজি উৎপাদনে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করেঃ শীতকালীন শাক - সবজির চাষ অনেকাংশে পানিসেচ সুবিধার ওপর নির্ভরশীল । সেচের সুযােগ বৃদ্ধি করে সবজি চাষাধীন জমি বাড়ানাে সম্ভব । 
শাক সবজি ফলন বৃদ্ধিঃ উন্নত ও উপযােগী জাত দ্বারা সবজির ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব । সকল কৃষকই যদি উন্নত জাতের সবজি চাষ করে তাহলে সবজির ফলন অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে । 

বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করেঃ আমাদের কৃষকেরা খুবই কম পরিমাণে সবজি উৎপাদন করে এবং কম জমিতে সবজি চাষ করে । সবজি যদি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় তাহলে সবজি উৎপাদন বেড়ে যাবে । 

সবজি বীজ উৎপাদনের মাধ্যমেঃ বাংলাদেশে সব ধরনের বীজ সব জায়গায় উৎপাদনের জন্য উপযােগী নয় । তাই যে অঞ্চলে বীজ উৎপাদন ভালাে হয় , সেভাবে বীজ উৎপাদন করা যায় । সবজি বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় । 

শাক সবজি উৎপাদন ও ব্যবহারের ত্রুটিসমূহঃ

(ক) শাকসবজি উঠানাের / সংগ্রহকালে অপরিচ্ছন্ন পাত্রে বা মাটিতেই রাখা হয় । শাকসবজি নরম ও রসালে বিধায় অনেক রােগ জীবাণু তাতে সহজে প্রবেশ করে । 

( খ ) শাক সবজি যতদূর সম্ভব টাটকা অবস্থায় খাওয়া উচিত । কিন্তু একমাত্র পারিবারিক বাগান ছাড়া বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত শাক - সবজি টাটকা পাওয়া সম্ভব নয় । তাছাড়া সেগুলাে নােংরা পানিতে ধুয়ে বা নােংরা পানির ছিটা দিয়ে নােংরা পরিবেশে নােংরা পাত্রে ভরে দীর্ঘসময় গরম পরিবেশে বহন করে বাজারে / আড়তে পৌছায় । 
( গ ) বাজারে শাক সবজি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নাই , ফলে গুণাগুণ অনেকটা নষ্ট হয়ে যায় । 

( ঘ ) শাক সবজি চাষকালে মারাত্মক বালাইনাশক ব্যবহার করা হয় , যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর । 

( ঙ ) শাকসবজি রান্নার আগে যখন কেটে প্রস্তুত করা হয় তার পূর্বে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত ।

( চ ) রান্নার সময় যতদূর সম্ভব সবজি কম সেদ্ধ করতে হয় । কিন্তু তা না করে অতিরিক্ত সিদ্ধ বা ভাজা পােড়া করে রান্না করা হয় , তাতে সবজির পুষ্টিমান নষ্ট হয়ে যায় । 

(ছ) যতটা সম্ভব কম পানি দিয়ে সবজি সিদ্ধ করতে হয় এবং পানি ফেলে দিতে হয় না । কিন্তু তা না করে সিদ্ধ করার পর পানি ফেলে দিয়ে বেশিরভাগ পরিবারে রান্না করে থাকে । 

( জ ) যে সব সবজি কাঁচা খাওয়া যায় , সেগুলাে কাঁচা অবস্থাতেই খাওয়া উচিত । যেমন- টমেটো , ক্যাপসিকাম , শশা , গাজর , লেটুস , মটরশুটি ইত্যাদি । অথচ টমেটো , শশা , গাজর রান্নার তরকারির সাথে যােগ করে দেওয়া হয় , তাতে অনেক পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায় । 
( ঝ ) চেঁড়শ কাঁচা অবস্থায় খাওয়া সম্ভব , যদি কচি সংগ্রহ করা যায় । তবে একটু সিদ্ধ করে তাতে সামান্য লবণ দিয়ে খাওয়া যায় । কিন্তু চেঁড়শ সাধারণত ভাজা করে খায় । এতে পুষ্টিমান কমে যায় ।


২০২১ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) ফ্লাওয়ার,ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভিশন-১ (২য় পত্র) এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর (২য় সপ্তাহ)



Tag: ২০২১ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) ফ্লাওয়ার,ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভিশন-১ (২য় পত্র) এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর (২য় সপ্তাহ),  এসএসসি (ভোকেশনাল) ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ উত্তর ফ্লাওয়ার,ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভিশন-১ (২য় পত্র),  শাক ও সবজির বর্তমান অবস্থা উন্নয়নে পদক্ষেপ


Any business enquiry contact us

Email:-Educationblog24.com@gmail.com

(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)


                               

 

কিভাবে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করবেন এবং পাসওয়ার্ড কি দিবেন? বিস্তারিত জেনে নিন



Previous Post Next Post